কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিয়ের নয় মাসের মাথায় গৃহবধূ কুলসুম প্রকাশ মনিকা আক্তারকে (১৭) শাশুড়ি ও খালাতো ননদ হত্যা করে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের বাইয়ারা পূর্বপাড়া মিয়াজী বাড়ির প্রবাসী আবু তাহেরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনিকা পৌরসভার আতাকরা গ্রামের মাহবুবুল হক মজুমদারের মেয়ে বলে জানা গেছে।
নিহতের বাবা মাহবুবুল হক মজুমদার অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে নয় মাস আগে পারিবারিকভাবে বাইয়ারা গ্রামের সালাউদ্দিন ওরফে রিদয়ের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে অনেক টাকার আসবাবপত্র দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তার শাশুড়ি মায়া বেগম আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে। বুধবার সন্ধ্যার আগে শাশুড়ি মায়া বেগম ও মেয়ের খালাতো ননদ নারগিস আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। আমি আমার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টার আগে মনিকার স্বামী সালাউদ্দিন ওরফে রিদয়সহ তিন যুবক মনিকাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামান রানা বলেন, ‘মনিকা নামে এক গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। নিহতের স্বামী সালাউদ্দিন ওরফে রিদয়কে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ব্যাপক মারধর করেছে। পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



