বাগেরহাটে নিহত বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা এম এ এইচ সেলিম নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের হাড়িখালি এলাকায় নিহত সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা এসএম হায়াত উদ্দিনের বাড়িতে আসেন। নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন ও সমবেদনা দেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা দেন। এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করা পর্যন্ত নিহত সাংবাদিক হায়াতের দুই মেয়ের সকল দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দেন। পরে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন জেলা বিএনপির সাবেক এই সভাপতি।
এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা ফকির তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান টুটুল, মেহেবুবুল হক কিশোরসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এ এইচ সেলিম বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমি হায়াতের পরিবারের পাশে এসেছি। তাদের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা প্রদান করেছি। আমি শুধু বাহক হিসেবে এখানে এসেছি। আর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হায়াতের দুই মেয়ের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করা পর্যন্ত দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘হায়াত বিএনপির কর্মী ছাড়াও একজন নির্ভিক সৎ সাংবাদিক ছিলেন। সত্য কথা বলা ও লেখার জন্য হায়াতকে হত্যা করা হয়েছে। হায়াত একজন বীর। আমি হায়াতের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।’ অতিদ্রুত হায়াতের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরের হাঁড়িখালি এলাকায় সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। পরদিন ৪ অক্টোবর জানাজা শেষে নিজ বাড়ির পাশেই তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় ৬ অক্টোবর নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদি হয়ে মো: ইসরাইল মোল্লা, বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ওমর আলী মুন্নাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় মোহাম্মদ ওমর ফারুক ওরফে ইমন হাওলাদার (২৫) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে আশিক (২৫) নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের আদেশে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।