চায়ের রাজধানী খ্যাত এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা ও ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক দিলীপ বৈষ্ণব।
তিনি জানান, সকাল ৯টা ও ভোর ৬টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল (শুক্রবার) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে চা বাগান, হাওর ও পাহাড় বেষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ভোরবেলা থেকেই কুয়াশার চাদর, শিশিরে ভেজা প্রকৃতি ও ঠান্ডা হিমেল হাওয়ার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চা শ্রমিকদের কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তবে কুয়াশার চাদর ভেদ করে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলো উদয় হওয়াতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে।
অন্যদিকে অগ্রহায়ন মাসে নতুন ধান ঘরে তোলার সাথে সাথে উপজেলাজুড়ে নবান্নের আনন্দ বইছে। নতুন ধানের সুবাস আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলিতে গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের বিভন্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ শীতের পিঠার দোকানগুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামলেই শহরের অলিগলিতে পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ভোজনরসিকরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সিনথিয়া তাসমিন। তিনি জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও হাঁপানির মতো ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে।



