মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভাঙন

কুতুবদিয়া-মহেশখালীতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি

সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলীসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পটে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের অস্থায়ী স্থাপনা। বাতাসে উপড়ে গেছে সৈকতের ঝাউগাছ।

গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তীব্র ঢেউ
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তীব্র ঢেউ |নয়া দিগন্ত

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি ঢুকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া-মহেশখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।

রোববার (২৭ জুলাই) ও গত দু’দিনে সাগরের তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার সৈকতের অন্তত ১০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা গেছে।

সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলীসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পটে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের অস্থায়ী স্থাপনা। বাতাসে উপড়ে গেছে সৈকতের ঝাউগাছ।

এছাড়া জোয়ারের আঘাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের চারটি স্পটে আবারো ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ অংশ এবং উখিয়ার পাটুয়ারটেক এলাকায়ও ভাঙন দেখা যায়।

নিম্নচাপের প্রভাব এবং অমাবস্যার কারণে সাগরের জোয়ারের পানি দু’ থেকে তিন ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পাওয়ায় কুতুবদিয়া, মহেশখালী দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।

পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের আনিসের ডেইল, তাবলর চর ও কাহারপাড়া, সাইটপাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের অর্ধশত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর জলাশয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াই প্রু মারমা জানিয়েছেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।’

জোয়ারের পানি ঢুকেছে টেকনাফের সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের লোকালয়ে। সেন্টমার্টিনের উত্তর পাড়া ও পশ্চিম প্রান্তে জোয়ারের পানির তোড়ে পর্যটন রিসোর্ট হুমকির মুখে পড়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা জানায়, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের গোসলে সতর্কতা জারি এবং হাঁটু পানির নিচে নামতে নিষেধ করেছে।