টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে ডলার বেচাকেনার প্রলোভন দিয়ে এক ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে আমিনুল ইসলাম (সোহরাব) নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমেলিয়া সিরাজাম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রতারিত রুবেল পাইক পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের পরিমল চন্দ্র পাইকের ছেলে। তিনি গাজীপুরের পুলিশ লাইন সংলগ্ন ওয়ারেস গেইট এলাকায় বসবাস করেন।
উল্লেখ্য, তিনি গত ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইলের মধুপুরে এসে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকাসহ নিজের ও সাথীদের মোবাইল খুঁইয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর রুবেল ও পাবনার আতাইকুলা উপজেলার গয়েশবাড়ী গ্রামের মুশফিকুর, শফিকুর নামের বন্ধুদের নিয়ে মধুপুর বনাঞ্চলে আসেন। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার দুল্লা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে জুলহাসের আহ্বানে প্রতারকরা প্রতি ডলার ২০ টাকায় বিক্রির প্রলোভন দেখান। জুলহাসের সাথে ছিল মধুপুরের ভুটিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ওরফে সোহরাব, মুক্তাগাছার সহোদর আব্দুল হালিম, কল্পনা, বানারপাড়ার মোস্তফা এবং আরো কয়েকজন।
রুবেল জানান, তিনি ও তার সঙ্গীরা ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ডলার কিনতে ভুটিয়া এলাকায় আসলে প্রতারকচক্র তাদের আটকে জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও রুবেলসহ তিনজনের কাছে থাকা ছয়টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন তারা।
ঘটনার পর রুবেল পাইক মধুপুর থানায় মামলা করলে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ভুটিয়া এলাকা থেকে আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে মধুপুর বন এলাকায় ডলার প্রতারণার নানা ঘটনার কথা শোনা যায়। এ একাধিক বড় ঘটনাও ঘটেছে। বন এলাকা অনেকটা ডলার কেনাবেচার হাট। প্রতারিতরা লোভে পড়ে এখানে আসেন। প্রতারণার শিকার হয়ে বড় অংকের টাকা খুঁয়ালেও লজ্জা ও পুলিশী ঝামেলার ভয়ে বেশির ভাগ ঘটনার জন্য মামলা হয় না।
মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে চক্রটির সদস্যদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।



