‘জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে’ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিন হওয়ার সুযোগ নেই। যারা সত্যিকার অর্থে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় না, তারাই জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা করছে। যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তারাই গণভোট সংসদ নির্বাচনের দিন চায়। কারণ তারা তাদের সন্ত্রাসী, লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ব্যালট ছিনতাই করে গণভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্ত করছে। তারা চায় না জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়া হোক। কারণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়া হলে তারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখল আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না।’
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শিকলবাহা ক্রসিংয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নাছের, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল হোসাইন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি প্রার্থী ডা: আবু নাছের, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, আরিফুর রশীদ, বোয়ালখালী উপজেলা আমির ডা: খোরশেদ আলম, চন্দনাইশ উপজেলা আমির মাওলানা কুতুব উদ্দীন, আনোয়ারা উপজেলা আমির মাস্টার আবদুল গণি, কর্ণফুলী উপজেলা আমির মাস্টার মনির আবছার চৌধুরী, কালারপোল থানার আমির মাস্টার নাছির উদ্দীন, সাতকানিয়া উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইব্রাহীম চৌধুরীসহ প্রমুখ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এই পদ্ধতি সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার আছে, কিন্তু এ দাবি নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার অধিকার কারো নেই।’ জুলাই সনদ সাক্ষরের আগে পিআর পদ্ধতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিতে সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে জামায়াত সংস্কারে অনেক ছাড় দিয়েছেন। কিন্তু জাতির স্বার্থে অন্যান্য বড় দল কোনো ছাড় দেয়নি। সরকারকে জনগণের হয়ে কাজ করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমির বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্বপ্ন পূরণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে। সরকার মূলতঃ নিজেদের পায়ে কুঠারাঘাত করবে। জনগণকে আবারো ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার দিকে ঠেলে না দিয়ে ৫ দফা দাবি মেনে নিতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি শত শত সাধারণ জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।