নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আবদুল কুদ্দুস (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। পরে তার লাশ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (২১ জুন) রাতে ২২ নম্বর ওয়ার্ড বন্দরের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কুদ্দুস বন্দরের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও বন্দর অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে বিএনপি সমর্থক বাবু-মেহেদি ও রনি-জাফরের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। পরে শুক্রবার দু’পক্ষের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় আটজন আহত হন। ঘটনার পরদিন শনিবার দুপুরে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে রাতে রনি-জাফর গ্রুপের পারভেজের বাবা আবদুল কুদ্দুস চা খেতে বন্দর স্ট্যান্ডে গেলে তাকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হাফেজিবাগ এলাকার জাফর জানান, তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থক। বাবু-মেহেদি গং আশার নাম ভাঙিয়ে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করেন। তিনি প্রতিবাদ করায় ওই গ্রুপ তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এর জের ধরে তারা পারভেজের বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার তদন্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুদ্দুসকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিহতের লাশ তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে গেছে।