নাটোর বড়াইগ্রামের খলিশাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের ধানাইদহ বাজারে এ মানববন্ধন করেন বিএনপির একাংশ নেতাকর্মী।
ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য মোক্তাদির আহমেদ রাসেল, মাহফুজুর রহমান মিল্টন, আশরাফ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সমাজসেবক আব্দুল মালেক, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রভাষক মাহবুবুর রহমান সুজন।
বক্তারা বলেন, ২৮ এপ্রিল কলেজের ১২ সদস্য বিশিষ্ট গভর্নিং বডির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু গত সোমবার নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকারের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির ১৫-২০ জন নেতাকর্মী কলেজে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তাকে কক্ষের ভেতরে অবরুদ্ধ করে পরিচালনা কমিটি বাতিলের জন্য নিজেরাই আবেদন লিখে তাতে জোরপূর্বক সই নেন। আমরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করছি এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ করে বিএনপির কিছু লোকজন কলেজে এসে জোরপূর্বক কমিটি বাতিলের জন্য কাগজে সাক্ষর নেয়াসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এ কর্মকাণ্ডে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির নামধারী অল্প কয়েকজন ব্যক্তি গত ৫ আগস্টের পর থেকে নগর ইউনিয়নে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। তাদের এ ধরনের অপকর্ম আমরা সমর্থন করি না। এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাব সরকার বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবৈধ কমিটি গঠন করে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা এ কমিটি মানি না। এ কমিটি দিয়ে কলেজে নিয়োগও দিতে দিব না। তাই কমিটি বাতিল ও নিয়োগ বন্ধ রাখার কথা বলেছি। তবে জোর করে সই নেইনি, কলেজে গেলে অধ্যক্ষ স্বেচ্ছায় সই করে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’