পাথরঘাটায় জেলের বড়শিতে বিপন্ন প্রজাতির কাল বাইন, সোয়া ২ লাখে বিক্রি

বিলুপ্তির পেছনে কিছু অসাধু ট্রলার মালিক, জেলে ও কাঠের তৈরি অবৈধ ট্রোলিং ট্রলার জড়িত রয়েছে।

এ এস এম জসিম, পাথরঘাটা (বরগুনা)

Location :

Barguna
বিপন্ন প্রজাতির কাল বাইন।
বিপন্ন প্রজাতির কাল বাইন। |নয়া দিগন্ত

বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে বিপন্ন প্রজাতির কাল বাইন মাছ বিক্রির উদ্দেশে নিয়ে আসে এফবি আল্লাহ ভরসা নামের একটি ট্রলার। প্রতিমন ২৪ হাজার টাকা দরে, নয় মন মাছ দুই লাখ ১৬ হাজার টাকায় ক্রয় করেন মৎস্য পাইকার জাকির হোসেন।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ বিপন্ন মাছগুলো বিক্রি করতে দেখা যায়।

জানা গেছে, গত ১০ দিন আগে পাথরঘাটার বাচ্চু গাজির মালিকানাধীন এফবি আল্লাহ ভরসা ট্রলারটি বাজার সওদাকরে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে মাছ শিকার যান। সেখানে বড়শি দিয়ে গত ১০ দিনে নয় মন কাল বাইন মাছ ধরেন তারা।

ট্রলারের মাঝি বাবুল মিয়া জানান, আট থেকে ১০ জন জেলেকে নিয়ে মাছ শিকার করতে যান তিনিসহ তার জেলেরা। সেখানে বড়শি পেতে অপেক্ষা করার পর বাইন মাছগুলো তাদের বড়শিতে ধরা পড়ে। অন্য মাছের চেয়ে এ বাইন মাছের দাম একটু বেশি হওয়ায় খুশি তারা।

পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটের পাইকার জাকির হোসেন মাছগুলো ক্রয় করেছেন। পাইকার জাকির হোসেনের ম্যানেজার মো: রাসেল বলেন, ‘এফবি আল্লাহ ভরসা ট্রলারের মালিক বাচ্চু গাজীর কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা দরে নয় মন মাছ ক্রয় করেছি। পাথরঘাটায় এর চাহিদা না থাকলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা যে মাছগুলো ক্রয় করেছি, ধারণা করছি আরো বেশি দাম এগুলো বিক্রি করতে পারব।’

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘এ মাছগুলো এক সময় বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে অহরহ দেখা যেত এবং চাহিদাও ছিল অনেক। আস্তে আস্তে এ মাছগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শীতের শুরু থেকেই গভীর সমুদ্রে থেকে জেলেরা বাইন মাছগুলো শিকার করে নিয়ে আসতো। বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে কিছু অসাধু ট্রলার মালিক, জেলে এবং কাঠের তৈরি অবৈধ ট্রোলিং ট্রলার জড়িত রয়েছে। তারা সকল রকমের মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস করে থাকে। এ ধ্বংসের কারণে আজ মাছগুলো বিলুপ্তির পথে।’

Topics