রামগড়ে জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন, দাদী-ফুফুর হত্যায় নাতি গ্রেফতার

হত্যার পর মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সেটি মাত্র চার শত টাকায় বিক্রির চেষ্টা করে। পুলিশ মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে।

বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)

Location :

Khagrachhari
সাইফুল ইসলাম (৩৫)
সাইফুল ইসলাম (৩৫) |নয়া দিগন্ত

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার পূর্ব বাগানটিলা এলাকায় মা আমেনা বেগম (৮৮) ও মেয়ে রাহেনা আক্তার (৪০) হত্যার ঘটনায় আটদিন পর গ্রেফতার হয়েছে নিহতদের নাতি সাইফুল ইসলাম (৩৫)।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রামগড় থানা পুলিশ।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ টিম অভিযানে অংশ নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যার সাথে অন্য কেউ জড়িত কি না, তা তদন্তাধীন রয়েছে। হত্যার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে এবং দ্রুত চার্জশিট আদালতে দেয়া হবে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত বুধবার রাতে সাইফুল দাদীর বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইলে দাদী ও ফুফু তাকে বকাঝকা করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে গভীর রাতে বাঁশ কাটার দা দিয়ে প্রথমে ফুফু এবং পরে দাদীকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সেটি মাত্র চার শত টাকায় বিক্রির চেষ্টা করে। পুলিশ মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায় নিহত রাহেনা আক্তারের ছেলে মো: হাসান গত শুক্রবার রামগড় থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত কি না।

ঘটনার পর পূর্ব বাগানটিলা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘরে ফিরত, শিশুরা খেলতে বের হতো না। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।

বাগানটিলা সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘এমন নৃশংস ঘটনা আগে আমাদের এলাকায় ঘটেনি। আসামি ধরা পড়ায় স্বস্তি পেয়েছি, তবে হত্যার স্মৃতি সহজে মুছে যাবে না।’