গোপালগঞ্জের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এক দিনে পৃথক ৩টি দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও কন্যাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। জেলার কাশিয়ানীতে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকের ৪ যাত্রী, সদর উপজেলা বাসচাপায় পথচারী এবং মুকসুদপুরে প্রাইভেটকার ও ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষে এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু’জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ও বিকেলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের যাত্রী মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পাইককান্দি গ্রামের মোতালেব মোল্যা (৭০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন আরো পাঁচজন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোতালেবের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগমকে (৬০) কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে মুমূর্ষু অবস্থায় মোতালেব দেলোয়ারা দম্পতির মেয়ে রুমা বেগম (৩৫) ও নাতনী নুসরাত (৭) ও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ওবায়েদুল শেখকে (৪৮) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুমা ও ওবায়েদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া রুমার মেয়ে নুসরাত ও ইজিবাইকচালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার ডুমদিয়ার এলাকায় টিটো গাজী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত টিটো ওই গ্রামের মন্টু গাজীর ছেলে।
এর আগে একই সড়কে মুকসুপুর উপজেলার গেড়াখোলা এলাকায় প্রাইভেটকার ও ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানচালক খোকন শেখ (৬২) গুরুতর আহত হন। পরে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহত খোকন কাশিয়ানী উপজেলার মাজড়া গ্রামের গেদু শেখের ছেলে।