ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার রাত থেকে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্পটে টহল শুরু করে বিজিবি। এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থার ধারাবাহিকতায় শনিবারও সীমান্তজুড়ে টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। একইসাথে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও যানবাহনে তল্লাশি কার্যক্রমও আগের চেয়ে আরো কঠোর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্তরা যাতে সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য শুক্রবার রাত থেকে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি শনিবার নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বাড়তি জনবল মোতায়েন করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জব্বার আহমেদ জানান, সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর উপজেলা ও পাশের হবিগঞ্জ জেলার কিছু সীমান্ত এলাকায় শনিবার টহল কার্যক্রম স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ রাখা হয়েছে। অবৈধভাবে কেউ যাতে সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সেই বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: জিয়াউর রহমান বলেন, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় আজও কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সম্ভাব্য সন্ত্রাসী বা অপরাধীরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সেজন্য যানবাহনে তল্লাশি এবং সন্দেহভাজন চলাচলের ওপর বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। সীমান্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে।
এদিকে গুলির ঘটনার পর জেলায় পুলিশের টহলও বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সংবেদনশীল এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।



