গোপালপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দফতর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেছেন, ‘হাসিনার চাঁদাবাজরা পালিয়ে গেলেও নব্য চাঁদাবাজ বেড়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাচ্ছি নব্য চাঁদাবাজদের কারণে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না। তারা আতঙ্কে দিন পার করছেন। নব্য চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।’
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরে গণঅধিকার পরিষদের ২১ দফা ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও কারাগারে থাকা অবস্থায় রিমান্ড শেষে বলেছিলো- আওয়ামী লীগের ৯০% পড়ে গেছে আর ১০% ধাক্কা দেন। আপনারাই সেই ১০% ধাক্কা দিয়েছিলেন। বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে এক আপোষহীন চরিত্রের নাম নুরুল হক। এই নুর কোনো সময়ে আপোষ করে নাই, ভবিষ্যতেও আপোষ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমরা ছাত্র, শ্রমিক জনতাকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলন শুরু করছি। গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে। সেই লক্ষে গণঅধিকার পরিষদ কাজ করছে। পাড়া মহল্লায় প্রত্যেকটা অলিগলিতে গণঅধিকার পরিষদের বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদ গোপালপুর উপজেলা সভাপতি মো: নসিম উদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ সম্পাদক মো: নবাব আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: সজিব হোসেন, জেলা সহ-সভাপতি মো: রেজাউল হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রনি, টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক এস এম সিহাব, ছাত্র অধিকার পরিষদের গোপালপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফ, রাজনীতি পাঠচক্র সম্পাদক মো: হামিদুর রহমান বাপ্পী, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি রুবেল হোসেন, শামছুল হক সুজন প্রমূখ।