উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীতে বৃদ্ধি পেয়েছে পানি। শনিবার রাতে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২.১৫) ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
রোববার (১ জুন) পানি কিছুটা নেমে বেলা ৩টার দিকে বিপদসীমার দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার (৫১.৮০) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্রমতে, তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছিল ১২০ সেন্টিমিটার। বর্তমানে সেখানে পানি কমতে শুরু করেছে। একইসময়ে দো-মহনী পয়েন্টে পানি বেড়েছিল ৬১ সেন্টিমিটার। রাত ৯টায় এ পয়েন্টে পানি সমতল ছিল ৮৫ দশমিক ৬৩ মিটার, যা বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকার ডালিয়া পয়েন্টে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি একই লেবেলে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে উজানের ঢলের রেশ রয়েছে। কারণ, সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় পানি কমলেও দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টায় পানির লেবেল একই গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে।
নীলফামারী ডিমলা এলাকার পানি কমলেও ভাটিতে ধাবিত তিস্তার পানি নীলফামারীর জলঢাকার ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারী, কৈমারী, রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগঞ্জ এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা যায়। পানির স্রোতে নদীর তীরে ধাক্কা লাগায় পাড় ভাঙছে। এছাড়া তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। ডিমলার ছোটখাতা, বানপাড়া সুপারীটারীর রাস্তায় পানি উঠেছে। এদিকে ঘরে যাতে পানি প্রবেশ না করে সেজন্য বালির বস্তা ও কলা গাছ ফেলে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন গ্রামের মানুষজন।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। শনিবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেলেও রোববার সকাল থেকে তা কমতে শুরু করেছে। তবে তিস্তার ডালিয়ার ভাটির দিকে যে পানি যাচ্ছে তাতে ওই দিকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’