ফেনী সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত মিল্লাত হোসেন ও লিটনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি’র নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাঁশপদুয়ায় নিহতদের বাড়ি যান এনসিপি’র কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সেলের সদস্য নফিউল ইসলাম।
এ সময় সংগঠনটির জেলা সংগঠক শাহ ওয়ালী উল্লাহ মানিক, আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল আজিজ, এনসিপি’র সংগঠক সানাউল্লাহ রাশেদ, আব্দুল কাদের, জাহাঙ্গীর আলম, বদরুদ্দোজা নোভেল, ছাত্র প্রতিনিধি সৌরভ হোসেন শাকিল ও আরমান হোসেন রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
নাফিউল ইসলাম বলেন, ‘ভারত আমাদের কখনো বন্ধু হিসেবে দেখে না। তারা আমাদের প্রতিপক্ষ ভাবে। সীমান্তের কাঁটাতারে আমাদের ভাইদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। তাদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
এ সময় নিহতদের পরিবারকে এনসিপি’র পক্ষ থেকে সকল সহায়তার দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
জানা যায়, গত ২৪ জুলাই দিবাগত রাতে পরশুরাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হন একজন।
হতাহতদের স্বজনরা জানান, বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়ে তাদের হত্যা করে।
তবে বিএসএফ দাবি করেছে, দুই দেশের চোরাকারবারিরা সীমান্তে চোরাচালানের উদ্দেশে একত্রিত হয়। এ সময় বিএসএফ গুলি ছোড়ে। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি পণ্য উদ্ধার করে।