স্বেচ্ছায় পাথর জমা দেয়ার তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষে অ্যাকশনে নেমেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। এবার অভিযানে পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার একটি পুকুর থেকে এসব সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়।
পাথর উদ্ধার অভিযান চলছিল বলে বিকেলে দৈনিক নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ।
তিনি বলেন, এখানে কয়েকটি পুকুরে সাদাপাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সেই আলোকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ পাথর রয়েছে তা অভিযান শেষে বলা যাবে।
এর আগে, সাদাপাথর উদ্ধারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। সেই আল্টিমেটাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় সাড়ে ছয় লাখ ঘনফুট পাথর ফেরত দিয়েছেন।
একইসাথে প্রশাসনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আরো ১৯ লাখ ঘনফুট পাথর। সবমিলিয়ে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় ১১ লাখ ঘনফুট সাদাপাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম।
এদিকে, প্রশাসনের আল্টিমেটাম শেষে সিলেট জেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট মো: সারওয়ার আলম।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সমূহে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও পাচারের ঘটনা ঘটছে। এসব কার্যক্রমের কারণে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।