গুরুদাসপুরে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে উধাও এনজিও

গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

Location :

Natore

নাটোরের গুরুদাসপুরে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে দশ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে ‘মানবিক সাহায্য সংস্থা মহিলা ঋণদান প্রকল্প’ নামের এক এনজিওর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১২ মে) ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

উপজেলার পোয়ালশুড়া, পাটপাড়া, বিন্যাবাড়ী, বিয়াঘাট এলাকার ভুক্তভোগী আঁখি খাতুন, খালেদা বেগম, রাফিজান বেগম, নাসিমা বেগমসহ অনেকে জানান, পৌর সদরের দুখা ফকিরের মোড়ে এক সপ্তাহ আগে অফিস রুম ভাড়া নিয়ে ‘মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) মহিলা ঋণদান প্রকল্প (ডাব্লিউসিপি)’ নামে একটি শাখা অফিস চালু হয়। গ্রামের অসহায় নারীদের অধিক মুনাফার লোভ দেখানো হয়। পরে নারীরা সঞ্চয় হিসেবে নিজেদের জমানো টাকা ওই এনজিওটিতে জমা দেন।

তারা আরো জানান, এক সপ্তাহ পর সোমবার (১২ মে) ওই এনজিও অফিসে ঋণ নিতে গেলে তালা ঝুলতে দেখেন গ্রাহকরা।

এদিকে ঋণ নিতে গেলে বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক ফকির দ্রুত এনজিওর সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলেন এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে রাগারাগি করেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

অফিস ভাড়া দেয়ার মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এনজিও সংস্থাটি আমার কাছে বাড়ি ভাড়ার জন্য এলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু এক সপ্তাহের সময় নেন তারা। এভাবে তারা পালিয়ে যাবে বুঝতে পারিনি।’

জানা যায়, এনজিও’র সাইনবোর্ডে লেখা ছিল ‘মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) মহিলা ঋণদান প্রকল্প (ডাব্লিউসিপি)’। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি হতে সনদপ্রাপ্ত (সনদ নং- ০০১৬৫-০১০৩৩-০০২৩৩)। অর্থায়নে- পিকেএসএফ, শাখা কার্যালয়, গুরুদাসপুর। এছাড়া সঞ্চয় আমানতের পাশবই ইস্যুকারীর স্বাক্ষর করেছেন জাকির হোসেন নামের কোষাধ্যক্ষ।

এদিকে এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’