মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা পরিচয়

নাচোলের ইউএনও’র বাবা-মা নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর উপসহকারী পরিচালক মো: মনজুরুল ইসলাম মিন্টু।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) |সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জালিয়াতি করে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: কামাল হোসেনের প্রকৃত বাবা-মা নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর উপসহকারী পরিচালক মো: মনজুরুল ইসলাম মিন্টু।

অভিযুক্ত কামাল হোসেন এর আগেও নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও এবং মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এজাহারে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে মো: কামাল হোসেন তার জন্মদাতা বাবা-মা মো: আবুল কাশেম ও মোছা: হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আহসান হাবীব ও চাচী মোছা: সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা হিসেবে চিত্রিত করে জালিয়াতি করেছেন। এই কৌশলের মাধ্যমে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি লাভ করেন।

দুদক জানায়, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো: কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত বাবা-মা ও তার চাচা-চাচীর ডিএনএ টেস্ট করার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন দাখিল করেন। কমিশন তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মো: কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত বাবা-মা ও তার চাচা-চাচীর ডিএনএ টেস্ট করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আসামি মো: কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত বাবা-মা ও তার চাচা-চাচীর ডিএনএ টেস্ট করবেন। বাসস