মাদারীপুরের কালকিনিতে উত্তর রমজানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক অভিযান পরিচালনা করেছে।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের নিমিত্তে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির আলোকে একই সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে যথারীতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে।
এতে দেখা যায় যে- চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ব্যক্তি মো: রোকনুজ্জামান সুপারিশ প্রাপ্ত হলেও তার পরিবর্তে মো: শিপন খাঁনকে নিয়োগ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।
আরো দেখা যায় যে- শিপন খাঁনকে নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে একই তারিখে আরেকটি জাল নম্বর পত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে নম্বর পরিবর্তন করা হয়।
এতে করে প্রকৃত সুপারিশপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিয়োগ হতে বঞ্চিত হন। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিগত ১০ বছর যাবত নানা দফতরে দফতরে ধরণা ধরে ও কোন প্রতিকার না পেয়ে দুদকের আশ্রয় গ্রহণ করেন। সমস্ত প্রমাণাদি দাখিল করে দুদকে অভিযোগ প্রদান করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করে এবং ঘটনার সত্যতা পান।
অভিযান পরিচালনার শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের অভিযানের বিষয়ে বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং আমরা প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি এ বিষয়ে আমরা আমাদের রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।