ঈদকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা

গরু চোরাচালান ও চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Location :

Chuadanga
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। |নয়া দিগন্ত

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সীমান্ত সুরক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে অপরাধ দমন, বিশেষ করে গরু চোরাচালান ও কোরবানির চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

৬-বিজিবির অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী, পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু মজুত আছে, যা স্থানীয় খামারিরা উৎপাদন করছেন। বিশেষ করে, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণের পশুর যোগান রয়েছে। দেশীয় খামারিরা যাতে ন্যায্য মূল্য পান এবং ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেজন্য পাশের দেশ থেকে কোনোভাবেই গরু অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সীমান্তে টহল, নজরদারি এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বহুগুণে জোরদার করা হয়েছে।

ঈদের পর পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কা মাথায় রেখে সীমান্তে নজরদারি ও চেকপোস্ট ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করা হয়েছে। বিজিবি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে, যাতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং জাতীয় অর্থনীতির ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় 'পুশইন' (অবৈধ অনুপ্রবেশ) এর বিষয়ে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সাথে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। কোনো ব্যক্তি যাতে বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। পাশাপাশি, যেসব ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইনের চেষ্টা হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিতভাবে বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আসিফ আহমদ এবং কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার এনামুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।