নির্বাচন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘নিম্নকক্ষ আসনভিত্তিক ও উচ্চ কক্ষ পিআর পদ্ধতিতে হবে। কিছু ত্রুটি থাকলেও আমরা দু’টি পদ্ধতিই গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, ‘একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ছাড়া কোনো দেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রসারিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি ও আসনভিত্তিক পদ্ধতিতে কিছু ত্রুটি থাকলেও ইতিবাচক দিকও রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান কমিশনের পক্ষ থেকে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। নিম্নকক্ষ হবে আসনভিত্তিক, উচ্চ কক্ষ হবে পিআর পদ্ধতিতে। দু’টি পদ্ধতিতেই নির্বাচন হওয়া দরকার।’
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, তরি ভিড়বে। আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো। সকলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সুজনের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাংবাদিক মনির হায়দার।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সুজনের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন, গাংনী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এএসএম সায়েম পল্টু, গাংনী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভট্ট এবং বিএনপি নেতা আব্দাল হক।
এ সময় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, সুজন, পিএফজি, নারী নেটওয়ার্ক ও ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।