ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অপরাজনীতির কবর রচনা করার জন্য বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। এই ঘুণে ধরা সমাজ পরিবর্তনের জন্য আমাদের আবু সাঈদরা জীবন দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের মতো সাইকোপ্যাথ ছিলো এই রাষ্ট্রের পলিসিমেকার। হাসিনার মতো রক্তখেকো ছিলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী। একটা রাষ্ট্রপ্রধান কিভাবে বলে তার নাগরিকদের মেরে ফেলো? আমরা এই রাজনীতির পরিবর্তন চাই।’
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শাখা সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দীন আবির, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, সাবেক কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো: শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
শাখা সেক্রেটারি মাইমুনুল হক মামুনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও অভিভাবকদের মধ্য থেকে অধ্যক্ষ মাওলানা এইচ এম শহিদুল্লাহ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শিবিরের বাইতুলমাল সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক বাহাউদ্দীন, অফিস সম্পাদক শাহেদুল মুরসালিন, ও প্রচার সম্পাদক জাহিদুল আলম জয়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবির সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রশিবির সম্পর্কে অনেক প্রোপাগান্ডা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। আমাদের ওপর নানা ট্যাগিং আরোপ করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা এসবের জবাবে সময় নষ্ট করবো না। দেশের কল্যাণ ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
তিনি আরো বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল তাদের বক্তব্যের বেশিরভাগ সময় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ব্যয় করে। অথচ জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল বৈষম্য ও বিভক্তির রাজনীতি সমাধির জন্য। শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা জীবন দিয়েছেন দেশকে বৈষম্যহীন ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নৈতিকতা, যোগ্য নেতৃত্ব, মেধা ও স্রষ্টার প্রতি আস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক হয়ে ওঠার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের মাঝখানে জুলাই আন্দোলন নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শণ করা হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থীকে অশ্রুসজল হতে দেখা যায়। এ ছাড়া চাঁদাবাজি ও অপরাজনীতি স্বরূপ তুলে ধরে একটি বিশেষ মঞ্চনাটক পরিবেশন করে পারাবার শিল্পী গোষ্ঠী।