এখনো উন্মোচিত হয়নি মেম্বার হত্যার রহস্য

কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

‘সকালে সৈকতের বালিয়াড়িতে লাশটি দেখতে পাই। এলাকার লোকজনের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ভাটার টানে এটি সম্ভবত সাগর থেকে ভেসে এসেছে।’

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)
লাশ উদ্ধার
লাশ উদ্ধার |নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী-পাটুয়ারটেক সৈকতের অংশ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনো তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয়রা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দিলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দুর্জয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া লাশটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের পরনে কোনো কাপড় ছিল না। মুখে তিনটি ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক জানান, ‘সকালে সৈকতের বালিয়াড়িতে লাশটি দেখতে পাই। এলাকার লোকজনের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ভাটার টানে এটি সম্ভবত সাগর থেকে ভেসে এসেছে।’

এদিকে সম্প্রতি একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা মানববন্ধনও করেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, উপকূলীয় জালিয়াপালং এলাকায় একের পর এক হত্যা ও লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাদের মধ্যে ভয় ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আলোচিত মেম্বার হত্যার রহস্য উদঘাটনে গড়িমসি এবং নতুন করে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে।

একাধিক বাসিন্দা জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনকে আরো সক্রিয় হতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলবে এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বাড়বে।

পুলিশ সূত্র জানায়, মেম্বার হত্যা এবং নতুন লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আলাদা দু’টি তদন্ত চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, দ্রুততম সময়ে হত্যাকারী ও ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

এলাকাবাসীর মতে, দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনলে এই উপকূলীয় অঞ্চলে অপরাধের বিস্তার রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।