রাঙ্গামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পিলওয়ে সোমবারের পরিবর্তে আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে খোলা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
পিডিপি সূত্র জানায়, সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা বা বিপদসীমার কাছে এসে পৌঁছায়। এ কারণে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পিলওয়রে গেট খুলে সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকেল ৩টার দিকে পানি ছাড়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পিলওয়ে দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
পিডিবি সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির লেভেল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১০৭ ফুট হওয়ায় যা বিপদ সীমার কাছাকাছি ধরে নেয়া হয়। একারণে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেয়ার কথা ছিল। এতে প্রতি সেকেন্ড নয় হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হবে বলে রোববার (৩ আগস্ট) রাতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ বিষয়ে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ১০৭ দশমিক ৪৯ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। সোমবার দুপুরে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়ার কথা ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আজকে না খুলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে জলকপাটগুলো খোলা হবে। আর কর্ণফুলী নদীতে পানি নিষ্কাশনের ফলে রাঙ্গুনিয়া, রাউজানসহ যেসব নিম্নাঞ্চল রয়েছে সেই সব এলাকায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির লেভেল ১০৭ দশমিক ৪৯ এমএসএল ( মীনস সি লেভেল ) রয়েছে। হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল হলেও বাঁধের বয়সের কারণে ১০৭ এর বেশি হলে এটিকে বিপদসীমা ধরা হয়।