দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আসাকে কেন্দ্র করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের উপস্থিত না থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) স্ত্রী ও মেয়েসহ সপরিবারে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছাবেন তিনি।
ফ্লাইটটি দুপুর পৌনে ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এর আগে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করবে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি কিংবা তার পরিবারের কোনো সদস্য বিমান থেকে নামবেন না। এ কারণে সিলেট বিমানবন্দরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক আয়োজন রাখা হয়নি।
বিএনপির পক্ষ থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের উপস্থিত না থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে ভিড় বা সমবেত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
তিনি সিলেট জেলা, মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীদের দলীয় নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানান।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনো কারণে সেখানে অবস্থান সম্ভব না হলে তিনি তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসভবন ‘ফিরোজা’তে উঠবেন।
দেশে ফিরে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বর রোডে অবস্থিত ওই কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে বিমানবন্দর ত্যাগের পর রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল রোড) এলাকায় তারেক রহমানকে কেন্দ্র করে বিশাল গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা ও পাশের জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।