পরীক্ষায় না বসে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে আমতলী উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসা প্রেমিকা
প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসা প্রেমিকা |নয়া দিগন্ত

পরীক্ষার আসনে না বসে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছেন প্রেমিকা। এ ঘটনায়

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ের আল্টিমেটাম দেন ওই প্রেমিকা।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে আমতলী উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার মহিষকাটা এলাকার একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী পাশের চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের হেলাল মৃধার ছেলে আরিফ মৃধার সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করেছেন এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর। কিন্তু বরিশাল বিএম কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া প্রেমিক আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রেমিক আরিফের বাড়িতে আসেন ওই প্রেমিকা। প্রেমিক আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ ওই পরীক্ষার্থীকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু প্রেমিক আরিফ তাকে বিয়ে করেনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ওই প্রেমিকার দাখিল পরীক্ষা ছিল। তিনি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছেন। এ সময় ঘোষণা দেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন। এ ঘটনার পরপরই আরিফ মৃধা ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আরিফ মৃধা আমার সাথে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এখন তার পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো সবই হারিয়েছি। এখন আর আমার কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তার ছেলের সাথে রাতে থাকতে দিয়েছেন এখন তারা পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, দু’পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কিনা আমি জানি না। এ বিষয়ে জানতে প্রেমিক আরিফ মৃধার ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, বিষয়টি আমি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম। মেয়ের পরিবারকে জানানো হয়েছে কিন্তু তারা মেয়েকে নিতে রাজি না।