আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট জেলার একটি আসন বাতিল করে তিনটি আসন বহাল রাখার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে রেখেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন এবং প্রধান ফটক ঘেরাও করেন। ফলে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, দুপুর ১টায় ঘেরাও কর্মসূচি শেষ হবে। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি নেতা এমএ সালাম, সদস্য সচিব জামায়াত নেতা শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী, সরদার লিয়াকত আলী, মাওলানা রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, মঞ্জরুল হক রাহাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আন্দোলনকারীরা জানান, যেকোনো মূল্যে বাদ দেয়া আসন পুনর্বহাল করতে হবে। এ দাবিতে ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক এমএ সালাম জানান, আজকের কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনায় পূর্বঘোষিত তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই দুপুরে নির্বাচন কমিশন বাগেরহাট জেলার চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন বাতিল করে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে যুক্ত হন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। তবে ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন শুধুমাত্র উপজেলা বিন্যাস পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে আসন পুনর্বিন্যাস করায় ক্ষোভে ফুসে উঠে জেলার জনগণ। আন্দোলনকারীরা আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।