ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বহুল প্রত্যাশিত স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হলেও এতে নিম্নমানের খাদ্য বিতরণ এবং সূচি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এসব অনিয়মের প্রমাণ পান।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ১৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি চলছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬ হাজার ৬২০ জন শিক্ষার্থী এই সুবিধার আওতায় রয়েছে।
ফিডিং সূচি অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের বনরুটি ও দুধ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেয়া হয়েছে শুধু দুধ, আর ৪০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিছুই পায়নি।
পরদিন মঙ্গলবারের তালিকায় ছিল বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম। কিন্তু সিডিউল অমান্য করে বিতরণ করা হয় একটি করে সাগরকলা। বাজারদর সর্বোচ্চ ৫ টাকা হলেও বিল দেখানো হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া ১২০ গ্রাম ওজনের যে বনরুটির দাম ২২ টাকা, তার পরিবর্তে বিতরণ করা হয়েছে মানহীন রুটি।
১ ডিসেম্বরের রুটিও ছিল নিম্নমানের, যা অনেক শিক্ষার্থী খেতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে শিক্ষক, অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো: হারুনুর রশিদের স্বাক্ষরিত সাপ্তাহিক খাদ্য বিতরণ তালিকার সাথে মাঠপর্যায়ের বাস্তব পরিস্থিতির কোনো মিল নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘সরেজমিনে গিয়ে নিম্নমানের রুটি বিতরণের প্রমাণ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘সব বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী প্যাকেটজাত দুধ পাঠানো হয়েছে। প্রতি সোমবার শিক্ষার্থীরা দুধ ও বনরুটি, সপ্তাহে তিন দিন বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম এবং প্রতি বুধবার বিস্কুটের সাথে কলা পাওয়ার কথা।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঠিকাদার এখনো বনরুটি, ডিম, বিস্কুট ও কলা নিয়মিত সরবরাহ করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রুটিনমাফিক খাদ্য বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ নিশ্চিত করবে বলে আশা করছি।’



