ফরিদপুরে দফায় দফায় বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের অনেকে বাড়িতে আটকা পড়েছেন এবং বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। এদিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে একসাথে কাজ চলছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Faridpur
বিএনপির দু’পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ
বিএনপির দু’পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ |নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত শতাধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। এদিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে একসাথে কাজ চলছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়াগট্টি বাজারে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের গ্রাম্য মাতুব্বর নুরু ও জাহিদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। দু’জনই ফরিদপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর সমর্থক।

আধিপত্য বিস্তারে সকাল ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ঢাল, শরকি, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আরো কয়েক গ্রামের লোকজন এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০০ জন আহত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের অনেকে বাড়িতে আটকা পড়েছেন এবং বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়।

হাবেলী গট্টি গ্রামের বাসিন্দা আলেপ শেখ আহত হয়ে নিজ বাড়িতে আটকা রয়েছেন। তিনি নুরু মাতব্বরের গ্রুপের সমর্থক। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কবির হোসেন নামে তার এক স্বজন বলেন, ‘আমার শ্বশুর বৃদ্ধ মানুষ, সকালে বাড়িতে ছিলেন। তার পায়ে একাধিক কোপ দেয়া হয়েছে, বাড়ি থেকে উদ্ধারও করা যাচ্ছে না।’

এদিকে জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে বালিয়া বাজার সংলগ্ন ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তির ৫টি গরু লুট করার একটি ভিডিও দেখা গেছে। দুপুর ১২টার দিকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।

ওসির দায়িত্বে থাকা সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফ হাসান বলেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারব।’