ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় আসন সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপি ও স্থানীয় জনসাধারণ যোগ দেন। ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার মোট ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা পুরো উপজেলার ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট এ উপজেলা দীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত হয়ে রাজনৈতিক অবহেলার শিকার হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিজয়নগরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এবার নতুন করে সরাইল আসনের সাথে তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত করায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, কখনো সদর, কখনো সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সাথে যুক্ত করে বিজয়নগরকে বিভক্ত করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এতে এলাকার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন বলেন, ‘চান্দুরা, বুধন্তি ও হরষপুর ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা খুবই হতাশাজনক। এতে উপজেলাবাসী বঞ্চিত হবেন। আমাদের দাবি- বিজয়নগরকে একক সংসদীয় আসন বা আগের আসনে রাখা হোক। আগামী ২৪ আগস্ট অখণ্ড বিজয়নগরের পক্ষে রায় না এলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।’
এর আগে গত সপ্তাহে বিজয়নগরের জামায়াত, বিএনপি ও এনসিপির নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে একটি লিখিত আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেন।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসেন, জামায়াত নেতা শিহাব উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি এনামুল হক ভাসারী, যুবদলের সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাবেদুর রহমান জাবেদ, বিএনপি নেতা লিটন রাষ্ট্র সরকার প্রমুখ।