যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় আহত মানিকগঞ্জের চুমকি আক্তার ঘটনাস্থল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আহত চুমকির স্বামী সেনা সদস্য মো: ইকরামুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত চুমকি আক্তার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে। ইব্রাহিম আরাবী নামে তার দু’ বছর বয়সী এক ছেলেসন্তান রয়েছে। ছেলেকে মায়ের কাছে রেখে গেছেন চুমকি।
আহত চুমকির স্বামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সেনা সদস্য মো: ইকরামুল হোসেন বলেন, ‘এ বছরের নভেম্বরের ৭ তারিখ জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যায় চুমকি। সেখানে শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর গ্রেনেডের কয়েকটি স্প্রিন্ট তার ডান হাত ও ডা পায়ে লেগেছে। পরে তাকে হেলিকপ্টারে ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, ‘আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। তার ছেলেকে আমার কাছে রেখে গেছে।’
কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের ডান হাত ও পায়ে আঘাত লাগছে। ওই দেশে হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার স্বামী কৃষি কাজ করে। আমাগো কোনো ছেলে নাই।’
এর আগে, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সুদানের কাদুগলি লজিস্টিক বেসে ওই ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ছয়জন বাংলাদেশী নিহত এবং আটজন আহত হন।
শহীদ শান্তিরক্ষীরা হলেন— কর্পোরাল মো: মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর), সৈনিক মো: মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম), সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি), সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) ও লন্ড্রি কর্মচারী মো: সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন— লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো: মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগনালস (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা), সৈনিক মো: মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম), সৈনিক মোসা: উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জিনিয়ার (রংপুর), সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ), সৈনিক মো: মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)।



