মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কারণে ক্লাস বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা।
আজ সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আক্তার বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মৃত্যুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা গত সপ্তাহ থেকে বিদ্যালয়ের কক্ষে তালা থাকায় আঙিনায় স্থানীয় শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা নিচ্ছি। এমপিওভুক্ত শিক্ষক থাকতেও ইউএনও মহোদয় নির্দেশ দেয়ার পরও দু’দিন হলো কোনো স্যারই আমাদের ক্লাস নিতে আসছেন না। আমরা কী ঝরে পরে যাব? আমাদের নদীর পূর্ব পাড়ের চরে বিদ্যালয় চরেই চাই, সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হতে চাই।’
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিমা বলেন, ‘শিক্ষকরা যদি আমাদের ক্লাস না নেন, না পড়ান আমরা কিভাবে পড়ালেখা করবো? পরীক্ষায় কি লিখবো? ছাত্র-ছাত্রী আছে, বিদ্যালয় আছে, কিন্তু শিক্ষক নাই! আমরাও তো শিক্ষার্থী, আমাদের কথা তারা কী ভাবেন না? আমাদের কে শিক্ষা দেবে? আমরা আমাদের মানসম্মত সেই শিক্ষকদের আমাদের আগের এই নির্মিত বিদ্যালয়েই চাই।’
এ সময় সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ইউএনও’র লিখিত নির্দেশেও শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকমণ্ডলীরা আসেন নাই বিধায় চর অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক, প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি তিনের সম্বনয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এরা সুবিধা বঞ্চিত চর অঞ্চলের জন্য স্থাপিত বিদ্যালয়টিকে ধ্বংস করতে চায়। অন্যদিকে তারা বাণিজ্যিক এলাকায় বিদ্যালয় স্থানান্তর করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে বিধায় তাদের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়ে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে নতুন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আগের স্থানেই ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশনা দিলেও গত দুই দিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসেননি।