গাইবান্ধা সদরের কলেজছাত্র সিজু হত্যার অভিযোগে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম ও ১২ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের মা। এদিকে ওই মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সাঘাটা আমলী আদালতের বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আল আসাদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৪ জুলাই বিকেলে গাইবান্ধা সাব রেজিস্ট্রি অফিস চত্বর থেকে সিজুকে সাঘাটা থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। থানায় নির্যাতনের পর মৃতপ্রায় সিজুকে থানা সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে পুকুরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ওই পুকুর থেকে সিজুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান জানান, শুনানি শেষে আদালতের বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এছাড়া মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি নিহতের মা রিক্তা বেগম নয়া দিগন্তকে জানান, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আদালতে মামলা করেছি। ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
নিহত সিজু মিয়া (২৫) গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি গিদারি ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ডিগ্রি ২য় বর্ষের কলেজছাত্র ছিলেন।
উল্লেখ্য, সিজু হত্যার ঘটনায় পরদিন গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে এলাকাবাসী। পরে ঘটনাটি তদন্তে চলতি মাসের প্রথম দিকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তবে তদন্তের কোনো অগ্রগতি না থাকায় ও সিজু হত্যায় জড়িত পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার নিহতের মা ঘটনার প্রায় এক মাস পরে আদালতে মামলা করেন।