লোকসানে চলা বন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে : নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

যেগুলো কার্যকর ও বড় বন্দর সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া আরো কিছু নদীবন্দর রয়েছে এগুলোকেও আমরা এভাবে বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেয়ার চেষ্টা করছি।

হাকিমপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা

Location :

Dinajpur
অনষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
অনষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন |নয়া দিগন্ত

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমন আমদানি ও রফতানি হয় না লোকসানে চলছে ওইসব বন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এই কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘২৪টি বন্দরের মধ্যে আটটি বন্দর বন্ধ করতে চেয়েছিলাম ইতোমধ্যে চারটি বন্ধ করতে পেরেছি। বাকি ২০টি বন্দর রয়েছে এর মধ্যে কার্যকর ১২ থেকে ১৪টির বেশি নেই। এসব বন্দরকে আধুনিকায়ন করে কী হবে, যেখানে এক পয়সা আয় নেই। সারা বছর ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়, খরচ হচ্ছে তার চেয়ে বেশি।’

তিনি বলেন, যেগুলো কার্যকর ও বড় বন্দর সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া আরো কিছু নদীবন্দর রয়েছে এগুলোকেও আমরা এভাবে বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেয়ার চেষ্টা করছি।

এর আগে তিনি বন্দরের সভাকক্ষে কাস্টমস বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার, ওয়ারহাউজ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরে যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন ও এর সমাধান চান উপদেষ্টার কাছে। পরে তিনি বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।

এ সময় সেখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।