সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫২তম মৃত্যবার্ষিকী কেশবপুরে পালিত হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কেশবপুর উপজেলা শাখার পৃষ্ঠপোষকতায় সাগরদাঁড়ি মধুসূদন একাডেমি দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মধুপল্লীতে মধুসূদন দত্তের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মধুসূদন একাডেমির মিউজিয়ামে মধুসূদন আলোচনা, ড. সুকুমার রায় স্মৃতিবৃত্তি প্রদান, মধুসূদন থেকে আবৃত্তি, নিবেদিত কবিতা পাঠ ও মধুগীতি পরিবেশন কর্মসূচি পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে মধুসূদন একাডেমির চেয়ারম্যান কবি কাসেদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। মুখ্য আলোচক ছিলেন ফার-ইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের প্রভাষক ড. সন্দীপক মল্লিক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন খান, মধুসূদন অ্যালবামের পরিচালক ও আলোকচিত্র শিল্পী মুফতি তাহেরুজ্জামান তাছু, সাগরদাঁড়ি আবু শারাফ সাদেক কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কানাই লাল ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মধুসূদন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবি খসরু পারভেজ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালোকের দায়িত্ব পালন করেন মধুসূদন একাডেমির সদস্য রিয়াজ লিটন
উল্লেখ্য, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদ তীরে সাগরদাঁড়ী গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলা কাব্যের রূপকার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। জমিদার পিতা রাজনারায়ণ দত্ত এবং মাতা জাহ্নবী দেবী। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পরলোকগমন করেন।