চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাম হাত হারিয়ে জীবন–মরণ লড়াই করছে ১০ বছরের শিশু রেহান খান। সোমবার দুপুরে কৈয়ারপুল পূর্ব বাজার এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশাকে দ্রুতগতির একটি ট্রাক অতিক্রম করার সময় শিশু রেহানের বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় এক যুবক ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের তৎপরতায় রেহানকে দ্রুত উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
হাসপাতাল–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রেহানের রক্ত দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় হাতটি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেছে।
চিকিৎসকেরা জানান, হাতটি জোড়া লাগানো সম্ভব হলেও তা আর কখনোই কার্যক্ষম হবে না। হাত জোড়া লাগানোর ব্যয় প্রায় আট লাখ টাকা, সাথে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা, থেরাপি ও পুনর্বাসনের খরচ।
পরিবার জানায়, সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনেকেই রেহানের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য ফোন করছেন। এতে চিকিৎসা ব্যাহত হতে পারে- এমন আশঙ্কায় তারা বর্তমানে যে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার নাম প্রকাশ করেনি।
জানা যায়, জন্মের সাত মাস বয়সে নিখোঁজ হয়ে যান রেহানের মা লিমা বেগম। সেই থেকে দাদির দেখাশোনায় বড় হয়েছে সে।
রেহানের নিকটাত্মীয় কাতারপ্রবাসী নানা সুমন খান জানান, বাচ্চাটার জীবনে একের পর এক কষ্ট নেমে এসেছে। এখন আবার হাত হারিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আরো বেড়েছে।
হাজীগঞ্জ–কৈয়ারপুল সড়কের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দ্রুতগতির যানবাহনের কারণে এ সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বহুবার অভিযোগ করা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বর্তমানে রেহানের চিকিৎসা চলছে। পরিবারের সদস্যরা শিশুটির সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন।



