গাজীপুরের শ্রীপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় শিক্ষক ও সাবেক ছাত্রদল নেতাসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কোষাদিয়া এলাকার আশা ব্যাংকের সামনে এ হামলা হয়।
হামলাকারীরা এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আহতরা হলেন, বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে ও গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সোহেল সরকার (৩৫), আব্দুল আজিজের ছেলে শিক্ষক এনামুল হক (৩৫) ও তাদের সাথে থাকা মোখলেছুর রহমানের ছেলে আল আমিন (৩৫)।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বজনরা তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত সোহেল সরকার।
সোহেল সরকার জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনিসহ তার সহযোগী এনামুল হক ও আল আমিন বরমী বাজার থেকে অটোরিকশায় মাইজপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে কোষাদিয়া আশা ব্যাংকের সামনে পৌঁছলে হামলাকারীরা তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে কিছু বুঝে উঠার আগেই অভিযুক্ত ও তাদের সহযোগীরা মুখ বেঁধে অটোরিকশার চারপাশ ঘিরে তাদেরকে মারধর করে।
তিনি আরো জানান, পরে পাশের নয়নের রিকশা গ্যারেজ থেকে লোহার রড, জিআই পাইপ ও হ্যামার এনে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহতদের চিৎকার শুনে পথচারী ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় হামলাকারীরা তাদের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়।
বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুর বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’



