হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো প্রচণ্ড শীত জেকে বসেছে। কুয়াশাযুক্ত হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। পঞ্চগড়সহ উত্তারাঞ্চলের অসহায় দরিদ্র মানুষ প্রচণ্ড ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিপাকে পড়েছে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস।
জগদল দক্ষিণ গোয়াল পাড়া এলাকার শ্রমিক আইয়ুব আলী বলেন, ‘কুয়াশার মাঝেই সকালবেলা পুরোনো একটি সোয়েটার গায়ে দিয়ে কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগছে। কিন্তু গরীর মানুষ হওয়ায় কোন উপায় নেই।’
রিকশাচালক কবির বলেন, সকাল কুয়াশার কারণে হাত-পায়ে প্রচুর ঠান্ডা লাগছে। শীতের কারণে কেউ রিকশায় উঠতে চায় না। নিরুপায় হয়ে রিকশা চালাতে হচ্ছে।
জগদল দক্ষিণ গোয়াল পাড়া এলাকার শিক্ষার্থী মাহির আল দাইয়ান বলেন, ’গতকালের চেয়ে আজকে কুয়াশা বেশি পড়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে পরীক্ষা দিতে এসেছি।’
তিনি জানান, বিকেল থেকে কুয়াশা পরা শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়ে। রাতে লেপ, কাথা, কম্বল নিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রিতে ওঠা-নামা করছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরানো জামা-কাপড় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামের অসহায় মানুষ জন সন্ধ্যা ও সকাল বেলা গাছের পাতা, খেড়, কাটের টুকরা, ঘষি ইত্যাদি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো: রোকনুজ্জামান জানান, সামনে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভবনা রয়েছে।



