চাঁদপুরের হাইমচরে গৃহবধূ ফাতেমাকে (৩০) শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম (৬৭) ও শাশুড়ি শাহানারা বেগমকে (৫০) যাবজ্জীবন এবং দেবর রিপনকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম একই এলাকার মৃত হাসেম গাজীর ছেলে ও অপর আসামী শাহানারা তার স্ত্রী।
হত্যার শিকার গৃহবধূ ফাতেমা প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার গোলাকান্দাই এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
বিবরণে জানা যায়, ‘২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত ১০টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার শাশুড়ি শাহনারা কথাকাটির একপর্যায়ে তার গলায় চেপে ধরে শ্বশুর ও দেবর গৃহবধূর পেটে লাথি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই ফাতেমার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরে লুকিয়ে রাখে। পরের দিন সকালে বাড়ির অন্যান্য লোকজন পুকুরে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর পাঠায়। ১৬ অক্টোবর গৃহবধূর ভাই ইউসুফ খান হাইমচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় হাইমচর থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা হলেন জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রানী শীল।