বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম সাংবাদিকদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘জীবনভর সংবাদপত্রে কাজ করেও শেষ জীবনে নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেককে শূন্য হাতে ফিরতে হয়। কারো কারো বেলায় দেখা যায় কোনো নিয়োগ পত্রই নেই এবং কেউ কেউ বিনা বেতনে কাজ করে জীবন পার করে দেন। দেশে এমন পরিস্থিতি থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের আর্থিক সুরক্ষা খুব দরকার। প্রেস কাউন্সিল সরকারকে সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। এ প্রস্তাবনা নীতিমালা হিসেবে শিগগিরই প্রণীত হবে বলে আশা করছি।’
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটে ‘গণমাধ্যমের অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ শীর্ষক সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হাকিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের, সংবাদপত্র মালিকদের এবং সম্পাদকদের নানা সংগঠন থাকলেও তাদের সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য তেমন কোনো আর্থিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাতে দেখা যায় না। দেশে প্রায় ৩ হাজার আইন রয়েছে। বহু সংখ্যক আদালত রয়েছে। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়নের জন্য যোগ্য ও দক্ষ মানুষের খুব অভাব রয়েছে। সাংবাদিকদের প্রফেসনাল ও পলিটিকাল আইডেন্টিটি আলাদা থাকা উচিত। দুটোকে মিলানো যাবে না।’
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের উদ্যাগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ। সিলেট সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব ( উপ-সচিব) আবদুস সবুর, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিলেট জেলার ৪০ জন সংবাদকর্মী অংশ নেন।