বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) চলমান সঙ্কটে ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়াকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ ৬ দফা আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমতলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল এই আল্টিমেটাম ও দাবির কথা গণমাধ্যমকে জানান।
এর আগে গত রোববার দিনভর প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হামলায় সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে আটজন আহত হন।
উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।
তবে প্রশাসনের এই হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিভিন্ন হল থেকে লাঠিসোঁটাসহ মিছিল নিয়ে কে আর মার্কেটে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
তাদের মূল দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং হলগুলোতে সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ভিসিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, হামলায় জড়িত শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল, শরীফ, রাফি, বজলুর রহমান মোল্লা, মনির, আশিকুর রহমান, কামরুজ্জামান এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, কম্বাইন্ড ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ‘ব্ল্যাক আউট’ করে দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম জানান, অনেকেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে হল ত্যাগ করেছেন। তবে কিছু শিক্ষার্থী এখনো ক্যাম্পাসে থেকে আন্দোলন করছেন। তিনি আশা করেন, বাকি শিক্ষার্থীরাও দ্রুততম সময়ে হল ছেড়ে দেবেন।
তিনি আরো বলেন, হল খালি হয়ে গেলে নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের হাতে চলে যায় এবং তারা এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করছেন। বর্তমানে বাকৃবিতে ছেলেদের নয়টি ও মেয়েদের পাঁচটি হল রয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী থাকেন।