সিলেটের ব্যবসায়ী সমাজের শীর্ষ সংগঠন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের পক্ষে ছয়জন আবেদনকারী নির্বাচনে স্থগিতাদেশ চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো: আসিফ হাসানের দ্বৈত বেঞ্চ আজ বুধবার ( ২৯ অক্টোবর) দুপুরে এই আদেশ দেন।
মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত হওয়ায় এখন নির্বাচনে আর কোনো বাধা রইলো না। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন আ্যডভোকেট নিয়াজ মোরশেদ ও আ্যডভোকেট ইসমাইল হোসেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর শনিবার ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল।
চেম্বার নির্বাচনে জমজমাট প্রচারণার মাঝে হঠাৎ গত ২৬ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নম্বর: ২৬.০০.০০০০.০০০.১৫৬.৩২.০০০১.৯২.২৭১) সিলেট চেম্বারের ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়।
চিঠিতে সদস্যপদ যাচাই-বাছাই করে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নতুন তারিখে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে চিঠিতে স্থগিতের স্পষ্ট কারণ উল্লেখ না থাকলেও ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়
চেম্বারের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদা ফারভিন মিতা বলেন, ‘তালিকায় কিছু সমস্যা নিয়ে কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে নতুন তফসিল ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছিল। এখন হাইকোর্ট এটা স্থগিত করার কোনো কিছু আমাদের জানা নেই। এরকম কিছু হলে হাইকোর্ট মন্ত্রণালয়কে জানাবে। মন্ত্রণালয় আমাদেরকে সিদ্ধান্ত জানানোর পর আমরা নির্বাচনের পরবর্তী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারবো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় নয়া দিগন্তকে জানান, বিষয়টা হাইকোর্ট এবং মন্ত্রণালয়ের। হাইকোর্ট কি নির্দেশনা দিয়েছে আমরা এখনো জানি না। হাইকোর্টের কাগজপত্র দেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদেরকে যে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।
তবে এতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। চেম্বার নির্বাচনে দুটি প্যানেল, সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে দুটো প্যানেলই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি দুটো প্যানেলই ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১ নভেম্বর ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।



