‘আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক। এ জাতি অর্ধশতাব্দি পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক নেতা পেয়েছি যাদের অনেক বড় পরিচয় বা সম্মোধন করেছি আমরা, কিন্তু কার্যত তারা দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এ ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস।’
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে মৌলভীবাজার শিল্পকলা অ্যাকাডেমির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আমরা এ ধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে ও স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্ত দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদের গড়তে হবে, বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন, সেই সম্পদ দেশ, জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে ‘
শিবিরের সাবেক এ নেতা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এ সমাজেই এই মানুষ তৈরি হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। এ দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরি না হয়। এ দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরি না হয়।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ (মৌসাস) ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। এ সময় জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০০ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।