কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌর এলাকার টিএনটি সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে এ সড়কে চলাচল করা যায় না। সড়কজুড়ে খানাখন্দের কারণে অটোরিকশা ব্যবহার করেও চলাচলে ঝুঁকির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ দাফতরিক ও ব্যবসায়িক কাজে টিএনটি সড়কের পূর্ব গাইলকাটা ‘টি’ মোড় দিয়ে চলাচল করেন। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। এ সড়ক ছাড়াও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আগরপুর-ভাগলপুর, কুলিয়ারচর বাজার-জামতলী মোড় সড়ক বেহাল দশা। এতে ভোগান্তি বাড়ছে এলাকাবাসীর।
পৌর এলাকার পূর্ব গাইলকাটা এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ তাছলিমা আক্তার (৩০) বলেন, বৃষ্টি হলে কুলিয়ারচর থানার কাছে টিএনটি রোডে হাঁটা-চলার উপায় থাকে না। রাস্তায় এক থেকে দেড় ফুট পানি জমে থাকে। পুরো রাস্তা পানিতে টইটম্বুর হওয়ায় বাসা থেকে বের হতে খুবই কষ্ট হয়।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আজহার উদ্দিন লিটন বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় টিএনটি সড়কের বড় বড় গর্ত পানিতে টইটম্বুর হয়ে পড়ে।
টিএনটি সড়কের বেহাল দশায় মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে কুলিয়ারচর পৌরসভার প্রকৌশলী মো: আবুল আহসান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, বৃষ্টির পানির সাথে বাসাবাড়ির পানি সড়কে আসায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতোমধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। দফায় দফায় অবহিত করার পর, বেশ কিছুদিন আগে টিএনটি অফিসের পশ্চিম দিকের দক্ষিণ সাইট দিয়ে আনুমানিক ২০ ফুট দূরত্ব জায়গা ড্রেনেজের জন্য গর্ত করার পর কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
অনেক দিন কাজ বন্ধ থাকে। এখন ওই জায়গায় পুনরায় থেমে থেমে কিছুটা কাজ করে জনসাধারণকে বুঝ দিচ্ছে, কবে নাগাদ এরাস্তা সংস্কারসহ ড্রেনেজের কাজ শেষ করবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে জানান এলাকাবাসী। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তা সংস্কারসহ ড্রনেজ ব্যবস্থার কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান।