ফরিদপুরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদা না পেয়ে ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাংচুর ও চালকদের মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন ও আনন্দ শুভ্র রায়কে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে শহরের ওয়ারলেস পাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ সাতজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাসুদুর রহমান লিমনকে ৬ নম্বর এবং আনন্দ শুভ্র রায়কে ৭ নম্বর আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাহেব আলী জানান, ‘এ মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের ব্যস্ততম ভাঙ্গা মোড়ে মাহেন্দ্র গাড়ির স্ট্যান্ডে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং কয়েকজন চালককে মারধর করে আহত করা হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাহেন্দ্র মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নেতৃত্বে স্ট্যান্ড থেকে প্রতিটি ট্রিপে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। গত ১৫ দিন ধরে মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রী ওঠানো নিয়ে তর্কাতর্কির অজুহাতে হামলা চালানো হয়।