মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় তীব্র সার সঙ্কটে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি পেশার সাথে জড়িত থাকায় ফসল উৎপাদন করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তবে এবছর সার সঙ্কট থাকায় তারা জমিতে চাষ করতে পারছেন না। দুয়েক জায়গায় সার পাওয়া গেলেও সেটার জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ, যা তাদের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। আবার অনেক স্থানে সার সঙ্কটে কৃষকদের মাঝে সংশয়ে জমিতে চাষ করছেন না।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চলতি বছর হঠাৎ করে সার সঙ্কট দেখা দেয়ায় আমরা ফসল চাষ করতে পারছি না। আমরা এই সময় পেঁয়াজের দানা, মরিচ, সরিষা, ভুট্টাসহ নানান ধরনের ফসল চাষ করে থাকি, তবে এ বছর সার সঙ্কট থাকায় আমরা সঠিকভাবে চাষ করতে পারছি না। জমিতে চাষ দেয়ার পরও আমরা সার না পাওয়ায় জমিতে আবার চাষ দিতে হয়েছে।
বাস্তা গ্রামের কৃষক শেখ সমেজদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের দানা দেয়ার সময় কোথাও সার পাইনি। জমিতে চাষ দিয়ে কয়েকদিন সারের জন্য ঘুরেছি এই বাজার ওই বাজার। অনেকের হাতে-পায়ে ধরেও সার পাইনি। অনেক ঘোরার পর পাশের এক বাজার থেকে ১৩৫০ টাকার টিএসপি সার ২০০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।
ভাদিয়াখোলা গ্রামের কৃষক মো: হাসান বলেন, সার পাইনি দেখে জমি চাষ করতে দেরি হয়েছে, বেশি দাম দিয়ে সার পেলেও চাহিদার থেকে কম পেয়েছি। কয়েকদিন পরে আবার সার লাগবে কিন্তু দোকানে গেলে বলে সার নেই। সার কোথায় পাই এখন আমাদের এই একটাই চিন্তা। এবার ভালো ফলন হবে কিনা তাও জানি না।
বাস্তা বাজারের সাব ডিলার মো: কোহিনুর বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকদের যে পরিমাণ সারের চাহিদা তা আমরা পূরণ করতে পারছি না। আমাদের কাছে সার না থাকায় আমরা কৃষকদেরকে সার দিতে পারছি না, ফলে কৃষকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: তৌহিদুজ্জামান খান জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে সারের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে চাহিদা নেই। আমরা চাহিদার তুলনায় বেশি সার মজুদ করে রেখেছি।



