জাতীয় নাগরিক (এনসিপি) পার্টির উত্তরাঞ্চালের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম বুড়িমারী এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আপনাদের লালমনিরহাটে একটি ট্রেন আছে, নাম বুড়িমারী এক্সপ্রেস কিন্ত বুড়িমারী স্টেশনে আসে না। এটা একটা মুলা ঝুলানোর মতো অবস্থা। নাম দেবেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস, সেই ট্রেন একবারের জন্যও বুড়িমারী স্টেশনে আসলো না এটা কেমন কথা। ওই ট্রেন লালমনিরহাট পর্যন্ত এসে আবার ঢাকায় চলে যাবে তা হতে পারে না।’ তিনি এবিষয়ে রেল উপদেষ্টার সাথে কথা বলবেন বলেও জানান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাটগ্রাম পৌর শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সীমান্তে মানুষ হত্যা এবং ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ ইন করার কঠোর সমালোচনা করেন সার্জিস আলম।
পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাটির ৪০/৫০ ফুট গভীর থেকে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বোমা মেশিন দিয়ে যেভাবে পাথর তোলা হচ্ছে আগামী ৫-১০ বছর পর এই এলাকা বিলীন হয়ে যেতে পারে। শ্রমিক ভাইয়েরা আগে যেভাবে সনাতনী পদ্ধতিতে পাথর তোলা হতো, সেইভাবে যদি তোলা হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্ত এখানে যেভাবে পাথর তোলা হচ্ছে এভাবে তুললে পাটগ্রামের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, বোমা মেশিন দিয়ে পাথর তোলার কারণে জমিতে ফসল ঠিক মতো উৎপাদন হচ্ছে না। বোরিংয়ে পানি উঠছে না। আপনি বাড়ি করবেন দেখবেন, সেই বাড়ি ডেবে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সার্জিস বলেন, ‘কিছু সংখ্যক দোষী (কালপ্রিট) ব্যক্তির কারণে এসব মেশিন রাতের আঁধারে চালানো হচ্ছে। এরা মেশিনওয়ালাদের প্রটেকশন দিয়ে তাদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’
তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, আপনার অধিকার আপনাকে আদায় করে নিতে হবে। কেউ এসে আপনার মুখে খাওয়া তুলে দেবে না।’
এসময় পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, এনসিপির মুখ্য সংগঠক ডা: মিতু, সংগঠক রাশেল আহমেদ প্রমুখ।