সাভারের সিআরপি’তে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন

সাভারের প্রধান কার্যালয়ে ‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

আমান উল্লাহ পাটওয়ারী, সাভার (ঢাকা)
সিআরপি’তে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন
সিআরপি’তে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন |নয়া দিগন্ত

সাভারে ৩৪তম আন্তর্জাতিক ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন করেছে সেন্টার ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অব দি প্যারালাইজড (সিআরপি) বা পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সাভারের প্রধান কার্যালয়ে ‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

দিনের শুরুতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিআরপি’র প্রধান কার্যালয়ের গেট থেকে র‌্যালির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এ সময় সিআরপিতে চিকিৎসাধীন মেরুরজ্জুর আঘাতপ্রাপ্ত রোগী, উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি টেইলর ইনক্লুসিভ স্কুলের শিক্ষার্থী ও সিআরপি’র কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ দিন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে জীবিকা সহায়তা দেয়া এবং উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি টেইলর ইনক্লুসিভ স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পরে দুপুরে রেডওয়ে হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদফতরের সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদ আহম্মেদ মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদফতরের সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের সমাজসেবা কর্মকর্তা মতিউর রহমান শেখ, সাভার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কে এম শহীদুজ্জামান ও সুবর্ণ নাগরিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবাল চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদ আহম্মেদ মোল্লা বলেন, ‘প্রতিবন্ধিতার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দায়ী নন। তাদের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখেই সরকারকে উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। আজ পর্যন্ত দেশে ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ প্রতিবন্ধী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন এবং পরিচয়পত্র পেয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘সামাজিক কুসংস্কার ভুলে সকলকে প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণে অংশ নিতে হবে এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ৯০০ টাকা মাসিক হারে সরকার ভাতা দিচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু ভাতা দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা কোনো সমাধান নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কোথায় কী প্রয়োজন তা খুঁজে বের করতে হবে।’