নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ব্যবহারসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে নারীসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের জের ধরে বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকা আধিপত্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সূর্য উঠার আগেই উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দা, বটি, টেঁটা, বল্লমসহ নানা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষের সময় পাঁচটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পাঁচটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সংঘর্ষে আছমা আক্তার (৪৭), গিয়াসউদ্দিন মিয়া (৪২), হাবিবুল্লাহ মিয়া (৫৫), পিয়ারিস মিয়া (৪০), কামাল হোসেন (৩৪), জলিল মিয়া (৪৫)সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আছমা আক্তার (৪৭), গিয়াসউদ্দিন মিয়া (৪২) হাবিবুল্লাহ মিয়াকে (৫৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত হাবিবুল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ব্যপারে এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’