মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার চরমুকুন্দী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জায়গা ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াতের পথ নিয়ে মসজিদ কমিটি ও জমি দাতাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। শত বছরের পুরোনো রাস্তা বন্ধ করে মসজিদের সম্প্রসারণ কাজ শুরু করার সাথে সাথে এ বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা নিয়ে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছেন জমিদাতাদের পক্ষে একজন।
কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মতলব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক ভিপি জাকির হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার ও মামলা করে মসজিদ কমিটি। এ ঘটনার সাথে ভিপি জাকিরের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি জানান এলাকাবাসী। তাদের দাবি- এটা সাজানো এবং সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় চরমুকুন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদসভায় এ কথাগুলো বলেন বক্তারা। এ সময় ওই মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাসির উদ্দিন প্রধান, শিপন প্রধান, জাহিদ পারভেজ, নবীর হোসেনসহ অনেকে।
তারা আরো বলেন, আল্লাহর ঘর হচ্ছে মসজিদ। এটি কারো ব্যক্তিগত ঘর নয়। মসজিদের জন্য যারা যারা জায়গা দান করেছেন, আজ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে যে পথটি ছিল তা শত বছরের পুরনো। এ পথ দিয়ে মসজিদের মুসল্লি এবং এলাকাবাসী যাতায়াত করতো। মসজিদ কমিটি হঠাৎ করে মসজিদের সম্প্রসারণ কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ বছরের পুরনো পথ বন্ধ করে দেয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষেপে উঠেছেন। জনগণের যাতায়াতের পথ খুলে দেয়ার জন্য মসজিদ কমিটিকে একাধিকবার বলার পরও কর্ণপাত না করায় আইনের আশ্রয় নেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। কিন্তু এ ঘটনার সাথে মো: জাকির হোসেন প্রধানের (ভিপি জাকির) কোনো সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও কেন গত ৪ আগস্ট তার ছবি দিয়ে ব্যানার করে অশালীন ভাষা ব্যবহার এবং অপবাদ দেয়া হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এলাকাবাসী।
এদিকে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেন মতলব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন প্রধান। তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে এবং ধর্মীয় বিষয় পূঁজি করে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হক প্রধান, মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, আব্দুর রশিদ জগলু প্রধান, বাদশা প্রধানসহ এলাকাবাসী।